Message From Chairmen

জনাব মাওলানা মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ

নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নবাবগঞ্জ, ঢাকা।

Message From Chief adviser

মুহাম্মদ এমদাদুল্লাহ

এমএ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপলী, লিবিয়া সাবেক অধ্যক্ষ।

Message From Principle

মেসবাহ উল্লাহ

বিএ (অনার্স), এমএ (মাস্টার্স) ইতিহাস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

মাদরাসাতুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়াহয় আপনাকে স্বাগতম

“পড়ো (ইকরা)” মহান স্রষ্টা আল্লাহ্‌র নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। – সূরা ‘আল-আলাক’।
মানব জীবনের পার্থিব ও পরকালের সফলতার মূল নির্দেশনাই এই বার্তায় প্রতিফলিত হয়েছে। ‘কুরআন মজীদ’ — এই পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাবটি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে একটি গম্ভীর বার্তা। এতে রয়েছে জ্ঞানের সকল উৎস।

আসমানী উৎস থেকে কুরআনের কোনো অংশ যখনই নাযিল হতো, মহানবী মুহাম্মদ (সঃ) তা মুহূর্তেই মুখস্থ করে ফেলতেন, তা লিপিবদ্ধ করাতেন এবং সাহাবিদের তা মুখস্থ করার পরামর্শ দিতেন। তিনি নিজেও সাহাবিদের কুরআনের ব্যাখ্যা ও তা বোঝাতে সচেষ্ট থাকতেন। তাই দেখা যায়, ইসলামি যুগের শুরু থেকেই একটি দল মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিল, যারা কুরআন মুখস্থ করতো, অন্যদের মুখস্থ করাতো এবং নিজেদের ও অন্যদের বোঝাতো।

নৈতিকতা-শূন্য আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধনে ব্যর্থ। পার্থিব শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, দুনিয়ার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য, তবে জীবন চলার প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক চলতে হলে কুরআন ও হাদীসের কোনো বিকল্প নেই। ইমান, আমল, আল্লাহর ভয় ও আখিরাতমুখী পথ ছাড়া আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব নয়; তেমনিভাবে, এই দুনিয়াকে দুর্নীতি, অনিয়ম, নিপীড়ন ও শোষণমুক্ত করা সম্ভব নয়।

অতএব, দুনিয়া ও আখিরাতের চিরস্থায়ী কল্যাণ ও শান্তিময় জীবনের লক্ষ্যে কুরআন ও হাদীসের চর্চা একান্ত অপরিহার্য। আজকের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে মানবজাতিকে এই পৃথিবীতে পাঠানোর উদ্দেশ্য নিয়ে খুব বেশি ভাবিত নয়। লক্ষ্যহীন এই শিক্ষাব্যবস্থা এমন একটি জাতি গড়ে তুলছে, যাদের জীবনের কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই। এই ব্যবস্থায় কোনো পবিত্র ও পরিপূর্ণ মানুষ গঠনের ঘোষণা বা লক্ষ্য নেই।

এই প্রেক্ষাপটে, “মাদরাসাতুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া” এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে, যেখানে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক জাগতিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার সফল সমন্বয় রয়েছে। এই শিক্ষা শুধু তত্ত্বীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রেও এর যথাযথ প্রয়োগ হবে।

“মাদরাসাতুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়াহ” বিশ্ব ও আখিরাতের পূর্ণ কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে, আদর্শ নাগরিক গঠনের লক্ষ্যে, যারা আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং একটি উন্নত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে চিন্তা, বিশ্বাস, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার চেতনা জাগ্রত করবে—এই দীপ্ত অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

এই মহান প্রয়াসকে সফল করার জন্য আমরা মহা রব্বুল আলামিনের দরবারে বিনীতভাবে প্রার্থনা জানাই।
আমিন।

Latest Notice

National Anthem

IMPORTANT LINKS

Videos

আমাদের মিশন

১। একটি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে—যেখানে তারা এমনভাবে শিক্ষা অর্জন করবে, যাতে তারা পার্থিব, আখিরাত, প্রকৃতি এবং সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে ইসলামী চিন্তা ও বিশ্বাসের আলোকে যাচাই করে সঠিক ও ভুল নির্ণয় করতে, ভবিষ্যৎ বুঝতে, গ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিকর বিষয়গুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।

২। এমন শিক্ষক গড়ে তোলা যারা সাহিত্য, শিল্প, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও অন্যান্য শাস্ত্রে ইসলামী দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জ্ঞান অর্জন করবেন এবং একই সাথে সেই মানদণ্ড অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের শেখানোর কৌশলেও দক্ষ হবেন।

৩। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই নতুন জ্ঞানব্যবস্থা আয়ত্ত করার শিল্প গড়ে তোলার জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে তথাকথিত ধর্মীয় মতপার্থক্যের পরিবর্তে আধুনিক জ্ঞান ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে ইসলামী অনুগ্রহ ও সুবাসের বার্তা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এবং সেই প্রতিষ্ঠানে উক্ত দর্শনের আলোকে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যক্রম, পাঠ্যপুস্তক, গ্রন্থ ও শিক্ষাসামগ্রী প্রস্তুত করা হবে।

৪। এই জ্ঞান অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হলো—মানবজাতিকে এমন পথে পরিচালিত করা, যেটি অনুসরণ করে মানুষ আল্লাহ্ তা’আলার প্রতিনিধি (খলিফা) হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে।

৫। আধুনিক কর্মমুখী পাঠ্যক্রম ও বিশ্বব্যাপী আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ এবং নৈতিক অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে, আল কুরআন ও আল হাদীসকে জ্ঞানের মূল উৎস হিসেবে সামনে রেখে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণপূর্বক, শারীরিক, মানসিক, জ্ঞানগত, সামাজিক ও আদর্শিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় পরিচর্যায় শিক্ষার্থীদের সমন্বয় করে মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা।

আমাদের ভিশন

১। এই সুশিক্ষিত মানবসম্পদকে কর্মমুখী করে দেশ ও মানবজাতির সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা।

২। আমাদের দেশ বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে এমন একটি অনুসরণযোগ্য আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, যা অন্যরা অনুসরণ করবে।

৩। সর্বোপরি, মহান রব্বুল আলামিন (আল্লাহ তায়ালা) ও সকল যুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করা।

Scroll to Top